দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের ডাব প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জামানত হারিয়েছেন।
যে হিরো আলম এর আগের নির্বাচনে প্রায় জিতে যাচ্ছিলেন, তিনি এখন জামানত হারালেন, তা শুনে অনেকেই চমকে যাচ্ছেন।
এর আগে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। কিন্তু নির্বাচনে হিরো আলম দুই হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন। জামানত রক্ষার জন্য তার প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৭৬ ভোটের।
শেরপুর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, 'কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে কাস্টিং ভোটের ৮ শতাংশ থেকে একটি ভোট বেশি পেতে হবে। এর কম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।'
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এ আসনে নৌকা প্রতীকের রেজাউল করিম তানসেন ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে স্থানীয়ভাবে ঘোষিত ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লা পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট।
বগুড়া ৪-আসনে নৌকার প্রার্থীসহ ছয়জন ভোটের মাঠে লড়ছেন। এ আসনের ১১৪টি কেন্দ্রে এবার তিন লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন ভোটার রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছর বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন হিরো আলম। তবে দুটি আসনেই পরাজয় হয় তার। পরবর্তীসময়ে গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিয়েও পরাজিত হন তিনি। হারান জামানতও।
এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন হিরো আলম। যদিও পরে 'অনিয়মের' অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
জানা যায়, বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম শৈশবে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি এবং ডিশ সংযোগের ব্যবসা করেন। নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন। ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি।
Posted by Newsi24