ঢাকা, বুধবার, ১৩ নভেম্বর 24, ২৮ কার্তিক ১৪৩১

আলোচিত ভিডিও

detail top 728

বিশাল সুখবর : এবার নোয়াখালীতে পাওয়া গেলো ২৫ বছরের গ্যাস

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ৪ (ওয়েস্ট) কূপে ৩টি স্তরে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত পাওয়া গেছে প্রায় ১৮০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানান, দৈনিক ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করলে প্রায় ২০-২৫ বছর গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ড্রিল স্টেম (টেস্ট ডিএসটি) শেষে ১০ থেকে ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপটির খনন কাজ শুরু হয় ২৯ এপ্রিল।

দেশীয় ও আমদানিকৃত গ্যাসের মিশ্রিত দর ঘনমিটার প্রতি ২২.৮৭ টাকা বিবেচনা করলে ১৮০ বিসিএফ গ্যাসের মূল্য প্রায় ১১,৬৫৭ কোটি টাকা। আমদানিকৃত এলএনজির মূল্য ১১.৫ ইউএস ডলার (এমএমবিটিইউ) হিসেবে ১৮০ বিসিএফ গ্যাসের মূল্য প্রায় ৭,০৩,৩৮৬ কোটি টাকা (ডলার ১২০ টাকা) দাঁড়াবে।

বেগমগঞ্জের ৪ নম্বর কূপ খননের প্রকল্প ব্যয় আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। বেগমগঞ্জ ৪ (ওয়েস্ট) কূপ থেকে প্রাপ্ত গ্যাস আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করতে হলে প্রায় ৩ কিলোমিটার গ্যাস গ্যাদারিং পাইপ লাইন স্থাপন করতে হবে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ এ পাইপ লাইন স্থাপন কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

প্রাপ্ত ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে সরবরাহ করা হলে এলাকার গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে জিটিসিএল-এর পাইপ লাইনের মাধ্যমে ইতিপূর্বে সরবরাহকৃত গ্যাস ঢাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে পেট্রোবাংলা।

উল্লেখ্য, এক সময় দেশীয় গ্যাসফিল্ডগুলো থেকে ২৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করা হতো। ফিল্ডগুলোর মজুত কমে আসা ও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে এখন ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। ঘাটতি সামাল দিতে ২০১৮ সালে এলএনজি আমদানি শুরু হয়। এজন্য মহেশখালীতে ২টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা হয়। তবে সাগর উত্তাল হলেই সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

detail lower 300x250

Posted by Newsi24

দেশ এর সর্বশেষ খবর



রে