জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২০২৩ সালে ৪ কোটি ২৭ লাখ যাত্রীর সেবা দিয়েছে। জেদ্দা বিমানবন্দর সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করে। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১৪ লাখ। অর্থাৎ ২০২৩ সালে যাত্রী বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। বিমানবন্দরটির ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চসংখ্যক যাত্রী।
জেদ্দা বিমানবন্দরের ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে, মোট ফ্লাইটের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারে উন্নীত হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালে ফ্লাইটের পরিমাণ ছিল দুই লাখ।
২০২৩ সালে বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক গন্তব্যের সংখ্যা ১১ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ২০২২ সালে ১১৪টি রুটের তুলনায় গত বছর ১২৬টি রুটে উড়োজাহাজ চলাচল করেছে।
এ আন্তর্জাতিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে কায়রো-জেদ্দা রুটটিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক যাত্রী আসা-যাওয়া করেছে এবং বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে স্থান পেয়েছে।
অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের দিক থেকে রিয়াদ-জেদ্দা রুটে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল। এখানে মোট যাত্রীর পরিমাণ ছিল ৭৮ লাখ। বিশ্বের অন্যতম অভ্যন্তরীণ রুট হিসেবে এটির অবস্থান অষ্টমে।
২০২৩ সালের ২২ জুন জেদ্দা বিমানবন্দরে রেকর্ড পরিমাণ ১ লাখ ৫১ হাজার যাত্রীর সমাগম ঘটে। এর আগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ২০২২ সালে এবং যাত্রী সমাগমের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার।
২০২৩ সালের সবচেয়ে ব্যস্ততম সপ্তাহটি ছিল ২৪-৩০ ডিসেম্বর। মোট যাত্রী ছিল ৯ লাখ ৭৯ হাজার।
গত ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর যাত্রী সমাগমের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ১৫ হাজার, যা ২০২২ সালে রেকর্ড ব্যস্ততম সপ্তাহের তুলনায় বেশি।
কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালন কার্যক্রমে এ দ্রুত প্রবৃদ্ধি এর অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা, যা যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতকে ত্বরান্বিত করেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা বাড়ার এ হারে প্রদেশটির সার্বিক উন্নয়নের প্রতিফলন ঘটেছে। বিশেষ করে পর্যটন খাতে উল্লম্ফন ঘটেছে।
দেশটি ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করায় পর্যটক সমাগম বেড়েছে। বিশেষ করে হজ ও ওমরার জন্য আসা লোকজন দুটি পবিত্র মসজিদে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এ বিমানবন্দরকে গেটওয়ে হিসেবে ব্যবহার করছে।
Posted by Newsi24